বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে মিন্নি

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৪০

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী ও রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির হয়েছেন। আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বাবার সঙ্গে আদালতের একটি কক্ষে অবস্থান করেন তিনি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মামলার অভিযোগপত্রে শুনানির দিন ধার্য থাকায় বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে আসেন মিন্নি।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার অপর সাত অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলার অভিযোগপত্রের শুনানির জন্য আদালত দুপুর ২টা সময় নির্ধারণ করলে বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আবার বাসায় চলে যান মিন্নি।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এ মামলার অভিযুক্ত কিশোর মো. নাজমুল হোসেনের জামিন শুনানি হবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। এ কারণে মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নাজমুলের জামিন শুনানি শেষে আজ দুপুর ২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার মূল নথি এসে পৌঁছাবে। তাই দুপুর ২টায় এ মামলার অভিযোগপত্রের শুনানির সময় নির্ধারণ করেছে আদালত।

এদিকে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের নতুন ভিডিও প্রকাশের পর মামলাটি নতুন মোড় নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

তিনি বলেন, বলেন, আসামিদের রক্ষা করার জন্য মূলত আয়শাকে আসামি করা হয়েছে। রিফাতের বাবা আবদুল হালিম এত দিন এ হত্যার সঙ্গে আয়শাকে জড়িয়েছিলেন। এখন নতুন ভিডিও প্রকাশের পর তার সেই দাবি ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। ফলে মামলাটি নতুন মোড় নিতে পারে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রকাশ পাওয়া নতুন ভিডিওতে দেখা যায়, গত ২৬ জুন সকাল ১০টা ২১ মিনিটে মিন্নি একাই একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় রক্তাক্ত ও অচেতন রিফাতকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত এক যুবক রিকশার দিকে দৌড়ে যান। রিফাতের অবস্থা দেখে তিনি দৌড়ে হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে রিকশার পাশে আসেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকেই এগিয়ে আসেন। এরপর রিকশা থেকে নামিয়ে অচেতন রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। এরপর মিন্নি হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেন। তিনি হাসপাতালের ভেতরে চলে যান। এর কিছু সময় পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ও চাচা আবু সালেহ হাসপাতালে আসেন।

এরপর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে হাসপাতালের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। সেখানে রিফাত শরীফের বন্ধু মঞ্জুরুল আলম ওরফে জন ও তার কয়েকজন বন্ধু হাসপাতালের সামনে আসেন। তখন বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলেন। ১০টা ৪৪ মিনিটে অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে ওই অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। ১০টা ৪৯ মিনিটে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ছেড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত