প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ন্যাপ

লাগামহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরুন

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৯

সাহস ডেস্ক

রুপপুরের বালিশ কান্ডের পর সাড়ে ৫ হাজার টাকার বই সাড়ে ৮৫ হাজার, পর্দা ৩৭ লাখ, ঢেউ টিন ১লাখ এসবে দেখে স্পষ্টই প্রমানিত হচ্ছে যে দেশে চলছে হরিলুট আর লাগামহীন দুর্নীতি। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছে ন্যাপ। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এ আহ্বান জানিয়েছেন। 

তারা বলেন, দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? জনগনের এসকল প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। 

নেতৃদ্বয় বলেন, আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে নানাবিধ কারণ থাকলেও প্রধান অন্তরায় হচ্ছে লাগামহীন দুর্নীতি। 'দুর্নীতিমুক্ত' বলা যাবে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই। সঙ্গত কারণেই আমাদের দেশেদুর্নীতির বিস্তৃতি ঘটতে ঘটতে এখন সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। একেবারে অপ্রতিরোধ্য বললেও অতুক্তি হবার কথা নয়। যা আমাদের জাতিস্বত্ত্বাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ক্রমবর্ধমান ওনিয়ন্ত্রণহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা গেলে প্রতিবছর জিডিপি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। 

তারা বলেন, লাগামহীন দুর্নীতির সাথে জড়িত এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায়জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। 

নেতৃদ্বয় বলেন, সমস্যা হচ্ছে, সমাজ ধীরে ধীরে দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছে। সমাজ তাদের গ্রহণ করে নিচ্ছে। আজ সমাজে বিদ্বান লোকের কোনো সমাদর নেই। আগের দিনে সমাজ শ্রদ্ধা করত বিদ্বান ব্যক্তিদের।আজ সমাজ সমীহ করে টাকাওয়ালাদের, বিত্তশালীদের- তাদের টাকার উৎস যাই হোক না কেন। এমন একটা পরিস্থিতিতে কী করণীয়? 

তারা বলেন, যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতিরবিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশ-জাতির স্বার্থে ও দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন তা চূড়ান্ত পরিনতিতে নিয়ে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে দলের নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যাগত ১১ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলেই তিনিউন্নয়নের যে মহাসড়কে দেশকে তুলেছেন তা-ই তাঁকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত