রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জাতিসংঘের অধিবেশনে তোলা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে। অবশ্যই সেখানে বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি তোলা হবে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিজ ক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অনেক টাকা পয়সা দিচ্ছে। তবে মিয়ানমারের জেনারেলের বিরুদ্ধে একটি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি। মিয়ানমারকে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা দিয়েছে। একটি নেভাল চুক্তিও করেছে।

মোমেন বলেন, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। আশা করছি আগামীতে কোনো সময় প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমস্যার সমাধান না হলে এই এলাকায় যতগুলো রাষ্ট্র আছে, চীন, ভারত, মিয়ানমার, বাংলাদেশে আগামীতে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। আর অনিশ্চয়তা তৈরি হলে উন্নয়নও হয় না। এখানে যদি ঝামেলা হয়, তাহলে সেটা সবার জন্যই অমঙ্গল হবে।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কমিটি করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে হুটহাট করে করলে হবে না। কাদেরকে কমিটিতে নিলে গ্রহণযোগ্য হবে সেগুলোও আমরা চিন্তাভাবনা করছি। এখনো পুরোপুরি হয়নি।

রোহিঙ্গাদের হাতে পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমরা শক্ত অবস্থান নিয়েছি। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে তারা যাতে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে না পারে সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি।