দেশ সংবিধান মতো চলছে না: কূটনীতিকদের কাছে ঐক্যফ্রন্টের নালিশ

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৬

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এবং কানাডার উপহাইকমিশনারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশ সংবিধান মতো চলছে না বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছি। দেশের জনগণ কোন পরিস্থিতিতে আছে, আমরা তা তুলে ধরেছি।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গুলশান-২ নম্বরে ৩৬ রোডের ৯ নম্বর বাড়িতে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়। আর শেষ হয় দুপুর ১২টার আগেই।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের কলংকিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে ‘অবৈধ’ সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। ফলে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টিই কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। এই সংকট উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন,  বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী চলছে না। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে সরকার সরে গেছে। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে নেই। যে সরকার দেশ চালাচ্ছে, সেটা জনগণের ভোটে প্রতিষ্ঠিত নয়। একটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান পার্লামেন্ট গঠন করা হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। অনির্বাচিত সরকারের কারণে দেশে যে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেটিই কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা কূটনীতিকদের বলেছি, দেশে গণতন্ত্র নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়াবাড়ি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এর থেকে মুক্ত হতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত