চার জন মিলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এমরান হোসেনকে

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৫১

চার জন মিলে ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় আট বছরের শিশু এমরান হোসেনকে। এরপর লাশটি মাছের ঝুড়িতে লুকিয়ে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায় বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এমরান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ওয়াসিম আকরাম।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এসপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন। এমরান হত্যার আট দিনের মাথায় পুলিশ ‘ক্লুলেস’ এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করলো।

গত ২৫ আগস্ট রাতে ছয়ানী বাজারে পরিত্যক্ত টিনের দোকান ঘরের ভেতর পরিত্যক্ত মাছের ঝুড়ি থেকে এমরানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউপির শরীফপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে এমরান গত ২২ আগস্ট দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। ২৩ আগস্ট তার বাবা  বেগমগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। এরপর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ২৫ আগস্ট রাতে ছয়ানী বাজারের শহীদের পরিত্যক্ত একচালা টিনের দোকানের ভেতরে একটি প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়ির মধ্য থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করে। মুখমণ্ডল বিকৃত হওয়ায় প্রথমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টার পর শিশুটির প্যান্টের স্টিকার দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

২৬ আগস্ট এমরানের বাবার জিডি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং তদন্ত ভার দেওয়া হয় বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলমের ওপর।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি আলমগীর হোসেন বলেন, মামলার অন্যতম আসামি ওয়াসিম আকরামকে ১ সেপ্টেম্বর ছয়ানী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে এমরান হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত