অনুমতি ছাড়া গাছ কাটতে এসে বাধার মুখে চেয়ারম্যান

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০১৯, ২১:৩৫

সাহস ডেস্ক

নীলফামারীর ডিমলায় দিনে-দুপুরে হাটের গাছ কর্তন করার সময় এলাকাবাসীর বাধার মুখে ডাল নিয়ে পালিয়েছেন গ্রাম পুলিশ, ইউপি সদস্যসহ চেয়ারম্যানের লোকজন। 

উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের সুটিবাড়ী হাট বাজারের একটি ইউক্যালিপটাস গাছ ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মুল্যের ওই গাছটি কাটার সময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন উক্ত ইউপির ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাফিউল ইসলাম সাবুল, গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমান ও আব্দুর জব্বারসহ চেয়ারম্যানের লোকজন।
 
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের নুরল হকের পুত্র সফিকুল ইসলাম সরকারী গাছটির পাশে সুটিবাড়ী বাজারে ঔষধের দোকান করে আসছিল। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক ও ইউপি সদস্য সাফিউল ইসলাম সাবুলের সাথে গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গাছটি ঝুকিপুর্ন মর্মে কর্তন করার আবেদন করেন চেয়ারম্যানের কাছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক গাছটি ঝুকিপূর্ন দেখিয়ে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গ্রাম পুলিশ ও উক্ত ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে কর্তন করার নির্দেশ প্রদান করে সটকে পড়েন। এক পর্যায়ে গাছটির বড়-ছোট সব ডালপালা কর্তন শেষে গাছটি কর্তন করতে গেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হকের নির্দেশ গাছটি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু ইউএনও স্যার গাছটি কাটতে নিষেধ করায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশেই গাছটি কর্তন করা হচ্ছিল। তিনিই আবার গাছ কাটার সময় মোবাইল ফোনে বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করায় গাছ কর্তন বন্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া চেয়ারম্যান হিসেবে এই হাট ও হাটের গাছের মালিক আমি। পুর্বেও কয়েকটি গাছ কেটে গুদামে রাখা হয়েছে যা নিলামে বিক্রি করা হবে। এর আগেও হাটের ঝুকিপুর্ণ গাছ কাটার অনুমতি এনে দেবার কথা বলে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ফেয়ার রাব্বুল আল আমিন তারেক আমার কাছে ঘুষ বাবদ টাকা নিয়েও অনুমতি এনে দিতে না পেরে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাই আমি এবার ওসব ঝামেলায় যাইনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে গাছ কর্তনের নির্দেশ প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বিনা অনুমতিতে গাছ কর্তনের অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বিনা অনুমতিতে সরকারী গাছ কর্তনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত