রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি মিয়ানমারে নেই: জাতিসংঘ

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৪৭

রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমান রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়মিত এবং পরিকল্পিত ধর্ষণ, গণধর্ষণ, সহিংস ও বলপূর্বক যৌনতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ভয়ানক লঙ্ঘন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল। -খবর এএফপি ও আল-জাজিরার

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদন এমন তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধানী মিশন। তারা বলছে, শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি মিয়ানমারে নেই।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের শাস্তি দিতে ও আতঙ্কিত করতে যৌন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যাসহ এসব কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অপরাধ।

রাখাইনের গ্রামে গ্রামে হত্যা-ধর্ষণ আর ব্যাপক জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে চারটি শর্তের কথা বলছেন। তাদের দাবি, প্রত্যাবাসনের জন্য আগে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। জমি-জমা ও ভিটেমাটির দখল ফেরত দিতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাখাইনে তাদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি দেয়নি। তাদেরকে বাঙালি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও কয়েক প্রজন্ম ধরে তারা মিয়ানমারে বসবাস করছেন।

নিপীড়নে জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে না পারার ব্যর্থতার জন্য মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়েছে তথ্য-অনুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে দায়মুক্তি ও মেনে নেয়ার পরিস্থিতি থেকেই এমন সহিংসতা সম্ভব। কারণ সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শাস্তি কিংবা শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়ার কোনো যৌক্তিক ভয় নেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত