'আইনের রক্ষক হয়ে একটি অংশ ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে'

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৩৬

দেশের সব অনিয়মের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা রিপোরটার্স ইউনিটিতে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক।

ড. ইফতাখারুজ্জামান বলেন,  'দেশে এমন কোনো অপরাধ নেই যার সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সম্পৃক্ততা নেই, যোগসাজস নেই বা অংশগ্রহণ নেই। আইনের রক্ষক হয়ে একটি অংশ ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।' তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই আবার ভালো কাজও করছেন। দেশ-বিদেশে পুরস্কৃতও হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের একটি অংশ ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন এটি রোধ করা না গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম পরিবর্তন করে আইন লঙ্ঘনকারী রাখতে হবে।'

তিনি আরোও বলেন, 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে অপরাধ সংঘটিত হলে বিভাগীয় তদন্ত করে তাদেরকে ক্লোজ বা বদলি করা হয়। এটি কোনো সমাধান নয়। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এটি করা গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং অন্যরাও অপরাধে যুক্ত হবে না।'

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে জেড আই খান পান্না জানান,  'মানবাধিকার লঙ্ঘন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রের দ্বারা সংঘটিত হয়।' তিনি বলেন, 'মানবাধিকারকর্মীরা আজ সুরক্ষিত নয়। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। চোখ বুঝলেই দেখতে পাই কারা গুম করছে। কিন্তু বলার ক্ষমতা নেই।'

এসময় হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৯ আগস্ট জাতিসংঘের কমিটির চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে সরকারের কাছে ৭৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এই চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ, আটক ব্যক্তিদের অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং যেসব এনজিও নির্যাতনবিরোধী কমিটিকে সহযোগিতা করেছে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া এই ৩টি বিষয়কে অগ্রাধিকার ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এক বছর পর সরকারকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত