জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে আমরা দায়বদ্ধ: তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নিয়েছি তাই জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে মন্ত্রী, মেয়র, কাউন্সিলরসহ প্রজাতন্ত্রের সবাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।’

২১ আগস্ট (বুধবার) রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন হলে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় একথা বলেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নিয়েছি তাই আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আজ প্রধানমন্ত্রী আমার কাছে বিভিন্ন কাজের হিসাব চান, প্রশ্ন করেন কারণ আমি দায়িত্ব নিয়েছি। যদি না নিতাম তাহলে আমাদের কাছে কেউ প্রশ্ন করতো না জবাব চাইতো না। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি; লোক দেখানোর জন্য না।’

তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের দুঃসময়ে একসঙ্গে কাজ করার যে নজির আপনারা রেখেছেন তা আমাদের আশা দেখাচ্ছে।’

নিজ বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া ১৬শ কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনে ৩৬৫ দিনই রাখার আবেদন জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করতে এসে আমরা শিখেছি যে এটা শুধু কোনো মৌসুমের কাজ নয়, বরং এটি সারাবছর ৩৬৫ দিনের কাজ। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। তবে আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ১৬শ জন কর্মকর্তার দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের বছরের সব সময়ের জন্য চাই।’ 

আতিক আরো বলেন, ‘নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য আমাদের কোনো লোকবল নেই। রোববার থেকে ৩৬টি ওয়ার্ডে একযোগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চালানো হবে। এরপর ওই ১৮টি ওয়ার্ডে। এ কাজে কাউন্সিলরদের আরও যুক্ত হতে হবে। নিজ নিজ ওয়ার্ডের দায়িত্ব ওই কাউন্সিলরকে নিতে হবে।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতি সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য সব প্রতিষ্ঠানই জনকল্যাণে নিয়োজিত। এগুলো যত শক্তিশালী হবে দেশ তত দ্রুত উন্নত হবে। আমাদের আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। আমরা সেটা করবো। আপনারা যে লোকবল চেয়েছেন তা আপনাদের কাছেই থাকবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগী এবং নিহত ও নিহতের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা আছে। এটা শুধু মুখে বলছি না অন্তর থেকে বলছি। আশা করছি আমরা খুব দ্রুতই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবো।’

এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও সভায় ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।