দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়েছে: হাইকোর্ট

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০১৯, ১১:১২

দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় দুই আসামির জামিন আবেদন খারিজ করা আদালতের লিখিত আদেশ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ বিশেষত শিশু ধর্ষণ ও পরবর্তীতে হত্যার মতো ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারার দায় মূলত রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর প্রকাশিত ওই লিখিত আদেশে আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

আদালত লিখিত আদেশে আরও বলেছেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলার আসামিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া ও ধূর্ত প্রকৃতির। এরা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের ওপর চাপ-প্রভাব বিস্তার করে আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে ভয়-ভীতি, প্রলোভনসহ বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে। ক্ষেত্র বিশেষে সালিশের নামে সামাজিক বিচার করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য এবং আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে বিরত থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে থাকে। এ অবস্থায় সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিকল্প নেই। আমরা প্রত্যাশা করছি সরকার দ্রুততম সময়ে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত