ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা পেতে নিজেদের সচেতন থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৪৮ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৯, ২০:১১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা পেতে নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, মশার লার্ভাটা যেন না জন্মে, মশা যেন জন্ম না নিতে পারে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং নিজে সচেতন থাকা, নিজেকে সুরক্ষিত করা। সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে বিষয়ে আমাদের আরও সর্তক হতে হবে।’

১৮ আগস্ট (রবিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে অনেক জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। সে ব্যাপারে আমাদের সর্তক হতে হবে। আমি মনে করে এটা মোকাবিলা করায় যথেষ্ট সচেতন ছিলেন, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের দেশে না, আমাদের আশপাশে অনেক দেশে কিন্তু ডেঙ্গুটা দেখা গেছে। দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে। কোনো কোনো দেশে মহামারি আকারে, যেমন ফিলিপাইনে মহামারি আকারে দেখা গেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে তারা বাধ্য হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অফিসের (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) সবাই অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে যে যেখানে ছিল প্রত্যেকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো চেষ্টা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ ভৌগলিক দিক থেকে ছোট কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বড়। এজন্য আমাদের কাজের চাপটা অনেক বেশি।’

বন্যা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বন্যা আমাদের দেশে আসবে, এর প্রয়োজনও আমাদের আছে। আমাদের দেখতে হবে দেশের মানুষের যেন জানমালের কম ক্ষতি হয়। আমরা কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বন্যা থেকে ভালোটা আমাদের নিতে হবে, ক্ষতিটা বন্ধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. মশিউর রহমান ও ড.তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।