ঠাকুরগাঁওয়ে যুদ্ধাপরাধী আবেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর আবেদ হোসেনের (৬৫) বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশন বরাবর দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা।

আজ (৮ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। এসময় তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সদস্য সানাউল হকসহ তদন্তকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলার ৭৩তম প্রতিবেদন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান খান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার বোবড়া এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে আবেদ হোসেনকে চলতি বছরের ২৫ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতনের মোট ৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগসমূহের মধ্যে প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মে মাসের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানাধীন আধারিদিঘীর পাড়ে পাকিস্তান আর্মি ও তাদের দোসর স্থানীয় রাজাকার আবেদ হোসেনসহ অন্যান্য রাজাকাররা আধারদিঘীর পাশ্ববর্তী বোবড়া ও অন্যান্য গ্রাম থেকে ৭ জন নিরীহ মানুষকে আটক করে জোরপূর্বক ব্যাংকার খননের কাজ করায়। ব্যাংকার তৈরির কাজে যেতে না চাইলে তখন আসামি মো. আবেদ হোসেন তার সহযোগীরা নির্যাতন করে জোরপূর্বক কাজে যেতে বাধ্য করতো।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, একাত্তর সালে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী আর্মি ও রাজাকারদের অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ খবর দিয়ে সহায়তা করার কারনে পবেদ আলী, দুমপেল ও মজনুকে ধরে নিয়ে তীরনই নদীর পাড়ে গুলি করে পানিতে ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় পবেদ আলী হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে উদ্ধার হলেও বাকি দুজনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, আহত পবেদ আলীকে আবার ধরে নিয়ে তীরনই নদীর পাড়ে গুলি করে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। পবেদ আলীর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এই আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে তদন্ত শুরু হয়ে আজ শেষ হয়। আসামীর রাজনৈতিক পরিচয়ে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
 

সূত্র: বাসস
সাহস২৪.কম/জুবায়ের/জয়