কোরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য নিয়ে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করুন

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০১৯, ১৩:৩৫

সাহস ডেস্ক

গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের যে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এই দাবী জানান।

তারা বলেন, কোরবানি ঈদের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। প্রতি বছরই নামছে পশুর চামড়ার দাম। গত ঈদুল আজহায় ১ লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। এবারও পানির দামে চামড়া কিনতে সিন্ডিকেটের পরিকল্পনা রয়েছে। ট্যানারি মালিকরা পানির দরে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে উচ্চদরে তা রফতানি করে থাকেন। এতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে চামড়ার দাম কম থাকছে। আর এবার তার থেকেও কমদামে চামড়া কিনতে চান ব্যবসায়ীরা।

নেতৃদ্বয় বলেন, কয়েক বছর ধরে কোরবানীর পশুর চামড়ার দাম নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃত্রিমভাবে দাম মাত্রাতিরিক্তভাবে কমিয়ে রেখে অস্বাভাবিক মুনাফা লুটে নেয়। চামড়ার দাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের হকদার হচ্ছে গরিব ও এতিমরা। দাম কমানোর ফলে গরিব ও এতিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরিবদের ঠকিয়ে একদল ধনী সিন্ডিকেট করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে এটা কাম্য হতে পারে না।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কা থাকায় এ বছরও চামড়া পাচার বাড়তে পারে বলে অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন। এ ঈদে সংগৃহীত চামড়ার একটি বড় অংশ পাচারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আড়তদারদের দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরই চামড়া পাচার করেন। দাম কম হলে দেশের আড়তে চামড়া বিক্রি না করে ভারতে পাচার করা হয়।

তারা আরো বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বছরের এই সময়ে চামড়ার মূল্য ও বাজারের সাথে কোটি কোটি প্রান্তিক হতদরিদ্র ও ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের স্বার্থের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কাচা চামড়ার মূল্য অস্বাভাবিক কমিয়ে নির্ধারণের ফলে চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা এবং যথাযথ নজরদারির বিষয়েও তাদের ব্যর্থতা লক্ষ্যনীয়। অন্যদিকে সাভারে চামড়াশিল্প স্থানান্তর প্রক্রিয়া ও অস্বাভাবিক সময়ক্ষেপন ও স্বেচ্ছাচারিতার ধারাবাহিক ঘটনাবলী সামগ্রিকভাবে দেশের চামড়া শিল্পের উপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। এতকিছুর পরও আমাদের চামড়াশিল্পের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। আগামী দশকে চামড়া শিল্প থেকে কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানী আয়ের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ধান, পাট ও লবণ চাষিদের মত চামড়ার প্রান্তিক যোগানদাতারা মূল্য কারসাজি ও মধ্যস্বত্বভোগিদের খপ্পরে পড়েছে। চামড়ার বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পাশাপাশি কোরবানীর পশুর চামড়ার সুবিধাভোগি হতদরিদ্র ও এতিম-মিসকিনদের অধিকার বঞ্চনার এহেন কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে।

নেতৃদ্বয় সরকারকে এ বিষয়ে নজর দেয়ার জন্য আহ্বান জানান এবং এ ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সিন্ডিকেট মুক্ত করার দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত