নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৩২

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চানমারীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ইমামকে আটক করেছে র‍্যাব। ঘটনা ধামাচাপ দেওয়া ও শিশুর পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগে মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ আরও পাঁচ জনকে আটক করা হয়।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬ টার দিকে র‍্যাব-১১ এর একটি দল সদর উপজেলার চানমারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলামকে আটক করে। এছাড়াও ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, রমজান আলী, মো. গিয়াসউদ্দিন, হাবি এ এলাহী ওরফে হবি, মো. মোতাহার হোসেন এবং মো. শরীফ হোসেন। ধর্ষক ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার সাবাপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

র‍্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, শিশুটি একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। প্রায়ই রাতে ঘুমের মধ্যে কেঁদে উঠে। বিভিন্ন কবিরাজ দিয়ে দিয়ে চিকিৎসা করেও ফল পাচ্ছিলো না তার পরিবার। এরমধ্যে শিশুটির বাবা জানতে পারেন বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম ঝাড়ফুক, পানিপড়া দেন। সে মোতাবেক তিনি অভিযুক্ত ইমামের কাছ থেকে পানিপড়া নিয়ে আসেন। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছিলো না। পরে ব্যপারটি ওই ইমামকে জানালে তিনি শিশুটির 'বাড়ি বন্দি' করে যান।

তিনি বলেন, 'বাড়ি বন্দি' চিকিৎসার পরও শিশুটি ভালো না হওয়াতে তিনি ধর্ষণ ঘটনা ঘটার আগেরদিন ইমামকে ফোন করেন এবং ব্যাপারটি জানালে ধর্ষক ইমাম পরেরদিন ফজরের আযানের পর শিশুটিকে মসজিদে নিয়ে আসতে বলেন। কথামতো মেয়েকে ইয়ে মসজিদে যান শিশুটির বাবা। তখন তাদেরকে মসজিদের তৃতীয় তলায় ইমামের শোবার ঘরে নিয়ে যান। এরপর শিশুটির বাবাকে মোম ও আগরবাতি আনার নাম করে পাঠিয়ে দেন ইমাম। এরপর তিনি মুয়াজ্জিনকে মসজিদের নিচের গেটের তালা লাগাতে বলে শিশুটির হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আলামত নষ্ট করার জন্য শিশুটিকে মসজিদের ছাদে নিয়ে পানি দিয়ে ধৌত করে এবং শিশুটির গলায় ছুরি ধরে ঘটনাটি কাউকে না বলার হুমকি দেয়।

আলেপ উদ্দিন বলেন, 'শিশুটি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির পরিবার বিষয়টি মসজিদ কমিটিকে জানিয়ে বিচার দাবি করলে মসজিদ কমিটির লোকজন উলটো মেয়েটির পরিবারকে হেনস্থা করা শুরু করে। মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও মেয়েটিকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা চালায় তারা।'

সাহস২৪.কম/জুবায়ের/রনি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত