কাজিপুরে সমকামিতার জেরেই ব্যবসায়ী শ্যামল খুন

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৩:১৮

কাজিপুরে ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা (৫৩) হত্যা রহস্য উদঘাটন করছে পুলিশ। মামলার একমাত্র আসামি ইয়াছিন আলী শেখ (১৮) আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে যে সমকামি সম্পর্কের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। 

রবিবার (৪ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাজিপুর থানার ওসি (তদন্ত) পুলিশ পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র মালী। 

তিনি জানান, ইছামতি নদী থেকে ব্যবসায়ী শ্যামল সাহার মরদেহ উদ্ধারের দু'দিন পর গত শুক্রবার ভোররাতে আসামি ইয়াছিন আলীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াছিন উপজেলার সোনামুখী ঋষিপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমানের আদালতে সোপর্দ করা হলে ইয়াছিন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় ইয়াছিন। 

জবানবন্দিতে আসামি উল্লেখ জানায়, শ্যামল সাহার সঙ্গে তার সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জের ধরে উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও ছিল।

সোমবার রাতে শ্যামল সাহাকে ফোনে ডেকে সোনামুখী ঋষিপাড়া এলাকায় ইছামতি নদীর পাড়ে নিয়ে যায় ইয়াছিন আলী। এ সময় পাওনা টাকা ও সমকামি সম্পর্কের বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এরই এক পর্যায়ে শ্যামল সাহা ইয়াছিন আলীকে দু'একটি চড়-থাপ্পড় দেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছিন লাঠি দিয়ে তার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শ্যামল সাহা। পরে মরদেহটি ইছামতি নদীতে ফেলে দেন। পরদিন বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার দিঘলকান্দি এলাকায় ইছামতি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

উল্লেখ্য, কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী বাজারের ব্যবসায়ী মৃত সত্যেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে শ্যামল সাহা গত সোমবার রাতে নিখোঁজ হন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী রিনা রানী সাহা বাদী হয়ে ইয়াছিন আলীসহ একজনের নাম উল্লেখ ও ৩-৪ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে কাজিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত