মুহূর্তেই ১২টি বসতভিটা যমুনার গর্ভে বিলীন

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০১৯, ১৫:১৫

দ্বিতীয় দফায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা সদরে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। মুর্হুতের মধ্যে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। 

শনিবার ভোরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রাহ্মনগ্রামে আধা ঘন্টার ব্যবধানে প্রায় ১২টি বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে শিক্ষা-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আঞ্চলিক সড়ক, বহু তাঁত কারখানা।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়া হলে থানা সদরের সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীনের আশঙ্কা স্থানীয়দের।

রবিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, যমুনায় বন্যার পানি বৃদ্ধির সময় নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত আর্ন্তজাতিক মানের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেন্ড এন্ড হাসপতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দক্ষিণে ব্রাহ্মনগ্রামে যমুনার প্রচন্ড স্রোতে আছড়ে পড়ছে। একারনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত-ভিটা ও ফসলী জমি, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

প্রচন্ড নদী ভাঙনে অল্প সময়ের ব্যবধানে ভেসে গেছে ইসহাক মুন্সি, আমিরুল, আজিজুল, আদম আলী, আলী আকবার ও মঙ্গলচাঁদের বসত ভিটা। 

স্থানীয় আব্দুর রহমান জানান, এক দিকে বন্যায় বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। অপর দিকে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি। আর প্রতিদিন নদী পাড়ে ডাকাতের উৎপাত এলাবাসিকে একদম চরম উদ্বিগ্ন করে ফেলেছে।

এখনই যদি ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে বিলীনের আশঙ্কায় রয়েছে এনায়েতপুর কাপড়েরর হাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, থানা ভবন, পাচিল-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, বহু তাঁত কারখানা ও ৫টি গ্রাম। 

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনেই এই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে চলে গেছে বহু স্থাপনা এরপরও ভাঙনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিরা। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গতশুক্রবার ভোররাতে ব্রাহ্মনগ্রামে যমুনার ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীনে খবর পেয়েছি। ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া আছে, কাজ চলমান আছে তবে বন্যার কারনে বালু সংগ্রহে সমস্যা হওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত