৪৬ পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি; ৪৩ পয়েন্টে হ্রাস

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৯, ১৬:২২

আগামী ২৪ ঘন্টায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি সামান্য অবনতি হতে পারে। অপরদিকে গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বৃহস্পতিবার) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় তিস্তা ও ধরলাসহ উত্তরবঙ্গের নদীসমূহের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্রহ্মপুত্র এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে, অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে।

আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৪৬টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪৩টি স্টেশনে হ্রাস পেয়েছে, ১৮টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টি নদীর পানি।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা, কুশিয়ারা, তিতাস, মেঘনা, ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, আত্রাই, ধলেশ্বরী ও পদ্মা নদীর পানি ১৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার, ফুলছড়ি পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধলেশ্বরী নদী এলাশিয়া পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার, ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদী গাইবান্ধা পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদ চিলমারী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার, সিলেটে ৮ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী অমলশীদ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ও শেরপুর-সিলেট পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, তিতাস নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদী চাঁদপুর পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদী বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার এবং পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ছাতকে ১৩৩ মিলিমিটার, চিলমারিতে ১১৫ মিলিমিটার, রোহানপুরে ৯৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ৯৪ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ৯১ মিলিমিটার, গাইবান্ধায় ৮৭ মিলিমিটার, নাকুয়াগাঁওয়ে ৮০ মিলিমিটার, কমলগঞ্জে ৭৪ মিলিমিটার, টেকনাফে ৬৯ মিলিমিটার, মনু রেলব্রীজ পয়েন্টে ৬১ মিলিমিটার, মৌলভীবাজারে ৫৮ মিলিমিটার এবং সিলেটে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
 

বন্যা পূনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।

সাহস২৪.কম/জুবায়ের/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত