'আম্মুর কাছে যাবো'

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪৫

তোবা তার মা'কে খুঁজে। পায় না। কাঁদে আর খুঁজে। এক সময় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে সে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফের কান্না। তুবা জানে না তার মা কোথায়? মা ফিরে আসার অপেক্ষায় গত তিনদিন ধরে এখনও সে বসে আছে!

রবিবার (২১ জুলাই) সারা দিন মায়ের অপেক্ষায় কান্নাকাটি করার পর ঘুমিয়ে পড়ে চার বছরের তাসনিম তোবা।

শনিবার দুপুরে স্বজনরা যখন মা তাসলিমা বেগম রেনুর (৪০) লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে রওনা হন, তখনো তোবা তার মাকে খুঁজছে। বায়না ধরে মায়ের সঙ্গে গাড়িতে যাবে। অবুঝ তোবা তখনো জানে না তার মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।

অবুঝ শিশুটিকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খোঁজে পাচ্ছে না কেউ। তার কান্নায় শোক ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের মানুষজনের মাঝেও। শোকের মাতম চলছে নিহত তাসলিমা রেনুর স্বজনদের মধ্যেও।

শনিবার সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি প্রাইমারি স্কুলে তোবাকে ভর্তি করার খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের সামনেই ছেলেধরা সন্দেহে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মুহূর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে পিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চান নিহত রেনুর ভাগনি নূরজাহান বেগম মুন্নি।

খুঁজ নিয়ে জানান যায়, মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় চার বছরের মেয়ে তোবাকে নিয়ে থাকতেন রেনু। স্বামী তসলিম হোসেনের (৪৫) সঙ্গে দুই বছর আগে বিচ্ছেদ ঘটে। বড় ছেলে তাহসিন আল মাহিব (১১) আগে মায়ের সঙ্গে থাকলেও এক বছর আগে লক্ষ্মীপুরে বাবার কাছে চলে যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত