'সরকারের অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা যাবে না'

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪৭

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করা প্রিয়া সাহাকে সরকার আত্মসমর্থনে সুযোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন -৬ এর ব্র্যান্ডিং সেমিনার শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতরাতে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে তিনি তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রিয়া সাহা আসলে কী বলতে চেয়েছিলেন সে বিষয়ে তার একটি পাবলিক স্টেটমেন্ট দেওয়া উচিত। তার আগে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল প্রসেস গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী নিষেধ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর একটা মামলা করার কথা ছিল। মামলার প্রসেডিংস শুরু না করতে আমি তাকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত বাড়িঘর যাতে প্রোটেক্টিভ থাকে, সে বিষয়ে স্টেপ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ আমি জানিয়েছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্যে কমিউন্যাল কমোশনেরও একটা বিষয় আছে, ভেরি সেনসেটিভ ইস্যু। দেশের বাইরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন, সেটা আমাদের জানা দরকার, জাতির জানা দরকার। তার আগে কোনও ধরনের স্টেপ নিতে যাবো না।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ জুলাই) ট্রাম্পের ওভাল অফিসে বিভিন্ন দেশে নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনও ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। সেখানে আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমিজমাও দখল করে নিয়েছে।

ওই নারীর এমন বক্তব্যের পর ট্রাম্প তাকে জিজ্ঞেস করেন, কারা জমি দখল করেছে, কারা ঘরবাড়ি দখল করেছে? তখন ওই নারী বলেন, মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সবসময়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত