প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে বাংলাদেশের মারাত্মক ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য আছে

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ১২:২৩ | আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯, ১৪:০২

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ট্রাম্পের কাছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এমন প্রতিক্রিয়া জানালো সরকার।

শনিবার (২০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যে ভয়ঙ্কর মিথ্যা অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ ও কঠোর নিন্দা জানায়। এর পেছনে বাংলাদেশের মারাত্মক ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করছে সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মানবিকতা ও উদারতা বিশ্বব্যাপী প্রসংশিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) ট্রাম্পের ওভাল অফিসে বিভিন্ন দেশে নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনও ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। সেখানে আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমিজমাও দখল করে নিয়েছে।

ওই নারীর এমন বক্তব্যের পর ট্রাম্প তাকে জিজ্ঞেস করেন, কারা জমি দখল করেছে, কারা ঘরবাড়ি দখল করেছে?

তখন ওই নারী বলেন, মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সবসময়।

এদিকে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন এমন ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত। যুগ যুগ ধরে এ দেশের ইতিহাসে ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা লেখা আছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে ভিন্নতা থাকলেও বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সুদৃঢ় সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ।

বাংলাদেশি পরিচয় দেয়া ওই নারীর এমন বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। ওই নারী এমন বক্তব্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।