সিরাজগঞ্জে শিক্ষিকা অপসারনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ক্লাস বর্জন

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৫:৫৩

পাবনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আটককৃত সিরাজগঞ্জের সেই শিক্ষিকার বিতর্কিত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় সিরাজগঞ্জ মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করেছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের অপসারনে দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভও করেছে তারা। 
 
সিরাজগঞ্জ সদর পৌর এলাকার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আবারো অবরুদ্ধ হন ঐ নারী শিক্ষক। গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসির খবরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দুপুরে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেন। 
 
পাবনা ট্রিচার্স ট্রেনিং কলেজে বিএড প্রোগ্রামে অধ্যায়ন করতে গিয়ে অধ্যক্ষের সাথে ওই নারী শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে আপত্তিকর অবস্থায় তারা ধরাও পড়েন। এর পর ঐ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর মামলা করে ওই নারী শিক্ষক। 
 
এসব ঘটনার খবর বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'ফেসবুক'-এ ভাইরাল হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদ ও স্থানীয়রা বিষয়টি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুলিশের সরণাপন্ন হন। সদর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী শিক্ষককে উদ্ধার করেন। 
 
মিরপুর পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি পাবনা জেলায়। তারপরেও শিক্ষার্থীর তোপের মুখে পুলিশ ডাকতে আমরা বাধ্য হই। পুলিশ শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে।
 
সদর থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ক্লাস বর্জন ও অবরুদ্ধ রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শিক্ষিকাকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিব্রত। আগামীকাল এ বিষয়ে জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফীউল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে ম্যানিজিং কমিটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেবে।