উত্তরাঞ্চলে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে কবির বিন আনোয়ার

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪৪ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪৯

অনলাইন ডেস্ক

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ছয়দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট, নীলফামারি, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ লক্ষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লালমনিরহাটের গড্ডিমারী ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। এছাড়া হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় ও মেডিকেল মোড়ে পাকা সড়কটি প্রায় ৫০০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ভাঙনের ফলে এরই মধ্যে ওই এলাকার ৩০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব এলাকায় ১৩ জুলাই (শনিবার) সন্ধ্যা থেকেই ত্রাণ বিতরণ করছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।

কবির বিন আনোয়ার জানান, স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, স্কাউট ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সমন্বয়ে ১৫টি দল গঠন করে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চলসহ নীলফামারির বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার ১৪ জুলাই (রবিবার) সকালে হাতিবান্ধা উপজেলার পাটকিপাড়া ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের দুই হাজার পরিবারের নিকট ত্রান বিতরণ করেন। এরপর আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ ও তিস্তার ভাঙণ থেকে রক্ষায় সাধারণ মানুষের বাড়িঘর সরানোর কাজে অংশ নেন। দুপুরে তিনি চর গোবর্ধন ও খুনিয়াগাছ এলাকায় ত্রান কার্যক্রমে অংশ নেন।

পানি সচিব বলেন, তিস্তার ভাঙণে বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে অবশিষ্ট গ্রামগুলো রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই এই কাজ শুরু হবে।