তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শনে কবির বিন আনোয়ার

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:৩৭

সাহস ডেস্ক

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ছয়দিন ধরে তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটে লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ১৩ জুলাই (শনিবার) সকালে দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যায় তা কমে ৩৫ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকালে বিপৎসীমার ৫৩.১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পানি সামান্য কমে সন্ধ্যায় ৫২.৯৫ সেন্টিমিটারে নেমেছে।

তিস্তা পাড়ে রেড এলার্ট অব্যাহত রয়েছে। তিস্তার এমন পানি ২০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। খবর পেয়েই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার লালমনিরহাটের দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাট বাইপাস পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ১৩ জুলাই (শনিবার) দুপুরে জেলার হাতীবান্ধার গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় পানির তোড়ে একমাত্র পাকা সড়কটি ভেঙে গেছে। এতে হাতীবান্ধা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

এছাড়া বন্যার পানিতে শ্রেণিকক্ষ ডুবে যাওয়ায় ৩৯টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

তিস্তা ব্যরাজ দোয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেই ভাবেই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত