প্রতিটি উপজেলায় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪৪

সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উন্নয়নটা যেন দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টা সকলকে ভালোভাবে দেখতে হবে। আপনাদেরই নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত যারা কাজ করে তাদের।

শনিবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমি বলব, খালি ঘুষ নিলেই সে অপরাধী তা না। যে দেবে সেও অপরাধী, যে নেবে সেও অপরাধী। আমরা সারাদিন খেটে এত কাজ করে এখন যদি এই দুর্নীতির কারণে এটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেটা দুঃখজনক।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি উপজেলায় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে উল্লেখ করে কৃষিজমি রক্ষা, পরিবেশ ঠিক রাখা এবং উপজেলা ভিত্তিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি ও বাস্তবায়নের জন্য সচিবদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কীভাবে কোন কাজটা করলে দেশটা আরও উন্নত হতে পারে বা দ্রুত আমরা কাজটি করে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারব, সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাদের যেন শহরে ভিড় করতে না হয়। নিজের গ্রামেই তারা যেন সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের একটা ভৌগোলিক সীমারেখা আছে। তাছাড়া এ দেশে জনসংখ্যাও অধিক। আমরা এ দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও চমৎকার জীবন দিতে চাই। উন্নয়নটা শুধু শহরকেন্দ্রিক হলেই চলবে না, তৃণমূল থেকে যদি উন্নয়ন করতে না পারি তাহলে আমাদের সাফল্য আসবে না। তা না হলে অহেতুক রাজধানীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

পরিকল্পিত উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ার সাথে সাথে সকলের একটা প্রবণতা হয়ে গেছে, যার যেখানে জমি আছে সেখানেই একটা দালানকোঠা তুলে ফেলছে। অনেক সময় কৃষি জমির উপরও দালানকোঠা হচ্ছে। এই জায়গায় মনে হয় একটা নীতিমালা এবং একটা নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, একটা মাস্টারপ্ল্যান থাকা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত