থানায় ডেকে নিয়ে নারীকে পেটালেন এএসআই

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৯, ১৮:২৭

বগুড়া ধুনট উপজেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহানুর রহমানের বিরুদ্ধে কহিনুর খাতুন (৪২) নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত কহিনুর বর্তমানে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বগুড়া জজ কোর্টের সামনে নিজের খাবারের দোকান চালান। দোকানের আয় দিয়ে কহিনুর সংসারের খরচ চালান। ওই সময় কহিনুরের দোকানে প্রতিদিন খাবার খেতেন শাহানুর রহমান। এর সুবাধে কহিনুরের বাসায় যাতায়ত ছিল শাহানুর রহমানের। এসময় কৌশলে কহিনুরের থেকে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন শাহানুর। এক সময় শাহানুরের বদলি হয়ে ধুনট থানায় যোগদান করেন। ফলে কহিনুরের সাথে শাহানুরের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। দুই মাস পর কহিনুর শাহানুরকে উকিল নোটিশ দেন। শাহানুর রহমান সারা না দেয়ায়  বগুড়ার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি নেন কহিনুর।

কিছুদিন পর খবর পেয়ে শাহানুর রহমান কহিনুর খাতুনকে ৬০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার কহিনুর খাতুন পাওনা টাকার জন্য ধুনট থানায় আসেন। এ নিয়ে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় দুজনের মধ্যে। একপর্যায়ে পিটিয়ে থানা থেকে কহিনুরকে বের করে দেন শাহানুর।

পরবর্তীতে আহত কহিনুর ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এলে সেখানেও পেটান কহিনুরকে। পরে স্থানীয় লোকজন কহিনুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এই ব্যাপারে কহিনুর বলেন, শাহানুর আমার থেকে কৌশলে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি সেই টাকা চাইতে গেলে সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেই। কিন্তু শাহানুর তা জানতে পেরে টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে।

শাহানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কহিনুর আমাকে দীর্ঘদিন ধরে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে আসছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে আপস নামায় স্বাক্ষর নেই। কিন্ত পরবর্তীতে আবারও থানায় এসে মামলার ভয়ভীতি দেখালে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে চড়থাপ্পর মারি।

এই বিষয়ে ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন পরবর্তীতে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।