সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৯, ১১:১২

ভারি বর্ষণ ও উজানের ডল অব্যাহত থাকায় দেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম, উত্তর ও হাওর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

বন্যার প্রভাবে বান্দরবানে চতুর্থ দিনের মত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। সুনামগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

জানা যায়, তিস্তায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জে সুরমা বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে নীলফামারিতেও ডিমলা ও জলঢাকা এলাকায় নতুন করে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, পটুয়াখালীর গলাচিপা, ভোলার চরফ্যাশনসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জনপদের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামে লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালী উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়ায়।

বান্দরবানের প্রধান বাস টার্মিনাল, আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়া, শেরেবাংলানগর, বালাঘাটা আমবাগানসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা গতকাল দুপুরের পর তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে চলে গেছে। থানচি উপজেলা সদরে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র এবং লামা উপজেলায় মোট ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।