মিরসরাই ট্র্যাজেডি: সংখ্যা হয়ে গেল ৪৫টি নাম

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৯, ০২:৪৫

রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্টে কলেজের করিম ও দিয়া বা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের আবরারের মৃত্যু আমাদের সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নতুন ভাবে ভাবিয়েছিল। প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছিল সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে।

তবুও লাশের মিছিল বেড়েছেই। যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের হিসেব অনু্যায়ী শুধু মাত্র গেল ঈদ-উল-ফিতরেই ঈদ যাত্রায় সারাদেশে সড়কে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ২২১ জন, আহত হয়েছেন ৬৫২ জন। 

লাশের মিছিলে এর আগেও অনেক নাম শুধুমাত্র সংখ্যা হয়ে গিয়েছে। ফিরতে চাই একটু ২০১১ সালের আজকের এই দিনে।

স্মরণকালের ইতিহাসে বাংলাদেশে সম্ভবত সবচেয়ে ভয়াবহতম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার আবু তোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় সেদিন ট্রাক উল্টে ডোবায় পড়ে মারা গিয়েছিল রাহাত, নয়ন, আরিফুল, কামরুলের মত ৪৫টি নাম।

২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে একটি মিনি ট্রাকে করে বিজয়ী এবং বিজিত উভয় দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা আবুতোরাব এলাকায় যাচ্ছিল। সৈদালী এলাকায় এলে ট্রাকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর ডোবা থেকে উদ্ধারকর্মীরা তুলে আনে ৩৯টি মরদেহ। পরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫ এ।

৪৫ জনের মধ্যে ৪৩ জনই ছিলেন শিক্ষার্থী। নিহতদের ৩৩ জনই ছিলেন আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের। এছাড়া আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুই, প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুই, আবুতোরাব এসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই ও আবুতোরাব মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী মারা যায়।

এভাবে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অনেক অনেক নাম শুধুমাত্র সংখ্যায় পরিণত হয়। সংখ্যাগুলো যোগ করে তৈরি হয় পরিসংখ্যান। তবুও দুর্ঘটনা ঘটছেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত