শিশু নির্যাতন রোধে প্রতিটি স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪৯

অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলার শুনানিতে শিশু নির্যাতন রোধে প্রতিটি স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসময় আদালত বলেন, শিশুরা তাদের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক, কারও কাছেই বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে অভিযোগ লিখে নির্ভয়ে দিতে পারবে।

বুধবার (১০ জুলাই) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)। আর বিবাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, অভিযোগ বক্সের বিষয়টি প্রচার করতে হবে। একইসঙ্গে নির্যাতন প্রতিরোধে যে কমিটি থাকবে সে কমিটির প্রধান যদি স্কুল প্রধান হন এবং তার বিরুদ্ধেই যদি নির্যাতনের অভিযোগ আসে, তাহলে কমিটি তদন্ত করবে কীভাবে? সেজন্য জেলা প্রশাসন পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তাকে ওই কমিটিতে যুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিন।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের (বাবা-মা) ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে (বাবা) অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে (অরিত্রী) আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত