জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের রায় যে কোনো দিন

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন তার আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সদস্যরা হলেন- বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি নুরুজ্জামান।

আদালতে আসামিপক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ১৮ জুন আজহারের আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২৬ জুন আপিল বিভাগ পেপারবুক পড়া শেষে ১ জুলাই যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক পড়েন।

গত ১ জুলাই প্রথম দিনের শুনানি শুরু করে পর পর মোট তিনদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর আজ বুধবার এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিরতর্কের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।

আসামি পক্ষের সর্বশেষ যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের।

ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।