শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০১৯, ১২:৫১

সাহস ডেস্ক

১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন ও ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী।

এর আগে গত সোমবার পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এ মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য বুধবার ধার্য করেন।

প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ঈশ্বরদির সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা মোখলেসুর রহমান, ইশ্বরদী পৌর বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া পিন্টু, ইশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন ও পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার ও অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার।

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের আগে রেলগেট এলাকায় অতর্কিত ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন।

পরে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি পুনঃতদন্ত করে পুলিশ। তদন্ত শেষে নতুনভাবে বিএনপি নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।

মামলাটি দায়েরের সময় মামলায় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত