শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলার রায় বুধবার

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৯

সাহস ডেস্ক

পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত। ফলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলা বহুল আলোচিত মামলাটি অবশেষে সমাপ্ত হতে চলছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রুস্তম আলী এ দিন ধার্য করেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু এবং অন্যতম আসামি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবনার পিপি অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা ও অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনাইন। আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম গেদা ও অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার। পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম শামসুল হুদা।

পাবনার সরকারি কৌঁসুলি আখতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, শেখ হাসিনাকে গুলিবর্ষণ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষী আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে হামলার ঘটনায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ খন্দকার জানান, এ মামলায় হাইকোর্টে লিভ টু আপিল চলমান, এরপরও রায়ের দিন ধার্য হয়েছে। কোন সাক্ষীই সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত আসামিরাই যে বোমাবাজি, গুলি করেছে তা বলেননি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রায় হলে অবশ্যই আসামিরা খালাস পাবেন।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে তাকে বহনকারী ট্রেনবহর যাত্রাবিরতি করলে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি তদন্ত শেষে ঈশ্বরদীর শীর্ষ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের করার বছরে এই মামলায় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। কিন্তু আদালত সে রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত