বাড়ছে যমুনার পানি, ভাঙন কবলে বসতি ও ফসলি জমি

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৯, ১২:৫১

তপু আহম্মেদ

জোয়ারের পানি আসা শুরু হতে না হতেই যমুনায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এ ভাঙনের ফলে বর্ষার শুরুতেই যমুনার পেটে যাচ্ছে যমুনা তীরবর্তী টাঙ্গাইলের মামুদনগর ইউনিয়নের ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও তা স্রোতে ভেসে যাচ্ছে যমুনায়। এ ভাঙন আতঙ্কে ইতোমধ্যেই গ্রামগুলোর সহস্রাধিক পরিবার অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে ইতোপূর্বেই ইউনিয়নটির ৭নং ওয়ার্ড সম্পূর্ণভাবে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙনরোধে একটি স্থায়ীবাঁধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির ঢলে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার মামুদ নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনরোধে পাউবোর আপদকালীন তহবিল থেকে ১২টি স্প্যানের জায়গা নির্ধারণ করে প্রতি স্প্যানে তিন হাজার পিস করে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জরুরি কার্যক্রম হিসেবে গত ১৭ জুন থেকে ওইসব স্প্যানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অল্প।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনার বাম তীরে অবস্থিত টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মামুদ নগর ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম ভাঙনের শিকার হয়েছে। ভাঙনের শিকার গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুকুরিয়া, কেশব মাইঝাইল, মাইঝাইল, সোনা মাইঝাইল, বার বাড়িয়া, চালা বাকলা ও বানিয়াপাড়া। এসব গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার বর্ষার শুরুতেই ভাঙনের শিকার হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে পাট, ধান, বাদাম সহ বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি ইতোমধ্যে যমুনার গর্ভে বিলীন হয়েছে। এর আগে বৃষ্টির কারণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অসময়ের ভাঙনের শিকার হয়ে আরো পাঁচ শতাধিক পরিবার অনত্র চলে যায়। ভরা বর্ষায় যমুনার যৌবনী স্রোতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই গবাদিপশু সহ ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, কুকুরিয়া থেকে উজানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই স্থায়ী বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের সাহায্যে পাউবো সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত