ডিআইজি মিজানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা; সীমান্তে সতর্কতা

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৯, ১৮:৪৮

সাহস ডেস্ক

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর হিলি চেকপোস্ট ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে আলোচিত ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের জন্য। সোমবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা  পাঠানো হয়। এরপরই সীমান্তে ও চেকপোস্ট এলাকায় নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবীর জানান, এই পথ ব্যবহার করে ডিআইজি মিজান যাতে কোনোভাবেই ভারতে পালাতে না পারেন সেজন্য হেডকোয়ার্টার থেকে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের মাধ্যমে একটি নির্দেশনা পেয়েছি। এর পরপরেই তার নাম কালো তালিকাভুক্ত করে ব্লক করে দেয়া হয়।

বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের সুবেদার চাঁন মিয়া বলেন, বিজিবি স্বাভাবিকভাবেই সব সময় সীমান্তে কড়া নজরদারীর মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে। তবে ডিআইজি মিজানের বিষয়টা জানার পর সতর্ক আছি। এছাড়া সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও সীমান্তে চলাচলকারী লোকজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এর আগে, ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৪ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নম্বর ১) দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এর মধ্যে ২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশ হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ও দুদক। তদন্তে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এছাড়া ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না মর্মে গত ১৬ জুন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সাহস২৪.কম/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত