আ.লীগ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০১৯, ১৭:০০

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে যে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেই স্বাধীনতার সূর্য আওয়ামী লীগের হাতেই উদিত হয়েছিল।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে চলমান ১১০তম, ১১১তম এবং ১১২তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, আমেরিকায় দারিদ্র্যের হার বোধ হয় সতের কি আঠারো শতাংশ। যে করেই হোক তার (আমেরিকা) থেকে এক পারসেন্ট (শতাংশ) কমালেও আমাকে কমাতে হবে। বাংলাদেশকে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমরা চাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আর সেটা মাথায় রেখেই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হতদরিদ্রের হার আমাদের ১১ শতাংশ। হতদরিদ্রদের জন্য সেখানে বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।

সরকারি সহায়তা পেয়ে কেউ যেন কর্মবিমুখ না হয় সেভাবে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সহায়তা এমনভাবে দিতে হবে যাতে একেবারে না খেয়ে থাকে কিন্তু কর্মবিমুখ না হয়। না খেয়ে কষ্ট পাবে না কিন্তু কর্মবিমুখ হতে পারবে না। সবাইকে কাজ করতে হবে সেভাবে, সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে। 

‘আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে আজকে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।

২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থেকেছে দেশ এগিয়েছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, এক সময় ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। নীতির বিরোধিতা করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও তখন বিরোধী দল বিএনপি বিরোধিতা করেছিল।

এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন। দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সচিবালয়েরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।