প্রধানমন্ত্রী সব কিছুতে ইন্টারফেয়ার করলে এদের থাকার দরকার কী: হাইকোর্ট

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৯, ১৯:৩৫

সাহস ডেস্ক

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলির ঘটনায় সচিবদের সততা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আড়ংয়ের আউটলেটে অভিযান চালানোর ঘটনায় আলোচনায় এসেছিলেন মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ মন্তব্য করে। এ সময় রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন আদালতকে বলেন, "আড়ংয়ে সাতশ টাকার পাঞ্জাবি কত টাকা রেখেছে দেখেছেন? এটা যে বন্ধ করতে গেছে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।"

এই মন্তব্যের জবাবে আদালত বলেন, "সব কিছুতে প্রধানমন্ত্রীর কেন ডাইরেকশন দিতে হবে? সেক্রেটারিরা কি তাদের পকেটে ঢুকে গেছে? বন্ধের সময় বদলির আদেশ দিয়েছে। লজ্জাও নাই। কি বলবো প্রধানমন্ত্রী সব কিছুতে ইন্টারফেয়ার করলে এদের থাকার দরকার কী। কত নোংরামি! এ রকম করলেতো যারা সৎ অফিসার তারা ডিমোরালাইজড হয়ে যাবে; নিরুৎসাহিত হয়ে যাবে। যারা বন্ধের দিনে এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল।"

উল্লেখ্য, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার উত্তরার আড়ংয়ে অভিযান পরিচালনা করে অনিয়ম পাওয়ায় আউটলেটটি একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তাতেই তাকে প্রথমে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সকল মহলে বিষয়টি আলোচনায় আসলে বদলি স্থগিত করা হয়। জানা যায়, এই স্থগিতাদেশে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছিলো।

তবে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ দাবি করেছেন, মনজুর শাহরিয়ারকে বদলির আদেশের পেছনে আড়ংয়ে অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই। তার বদলির সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। তবে সংসদে এই স্থগিত আদেশের সমালোচনার পাশাপাশি এই রকম অভিযানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "এই রোজার সময়, তখনও আমি দেশের বাইরে ছিলাম। বেশ কিছু বড় বড় জায়গায় একজন অফিসার হাত দিল বলে তার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা হঠাৎ করে নেওয়া হল-এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না। বরং আমি আজকেও বলে দিয়েছি যে, তাকে আবার ওই দায়িত্বেই দিতে হবে। খুব নামি-দামি জায়গা, তাদের যে কোনো খারাপ কিছু হবে না বা থাকবে না যারা ওটার মালিক তারাওতো এই গ্যারান্টি দিতে পারবে না।।"

শেখ হাসিনা সংসদে আরোও বলেছিলেন, "সেখানে কেন পরীক্ষা করতে পারবে না, কেন সচেতন করতে পারবে না? এই অধিকারটা কেন থাকবে না? সাধারণ ছোটখাট সেগুলো ধরতে পারবে। আর বড় অর্থশালী, সম্পদশালী হলেই তাদের হাত দেওয়া যাবে না। তাদের অপরাধ অপরাধ না এটাতো হয় না।"

সাহস২৪.কম/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত