ওসি মোয়াজ্জেম কারাগারে

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০১৯, ১৯:৪০

সাহস ডেস্ক

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিডিওতে ধারণ এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ৩০ জুন নির্ধারণ করেন আদালত।

সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান, বিচারক উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাদী সায়েদুল হক সুমন আদালতে বলেন, আসামি যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতো, তাহলে সে কেন এতদিন আত্মগোপনে ছিল? সে পুলিশ বিভাগের কলঙ্ক। তিনি জামিনের বিরোধিতা করেন।

আসামির পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তিনি ভিডিও প্রচার করেছেন। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে তিনি এটি প্রচার বা প্রকাশ করেন নাই। মূলত একটি মামলার এজাহার হলে পরবর্তীতে বাদী বিভিন্ন চাপের কারণে মামলা উঠিয়ে নেয়। মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে মোয়াজ্জেম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তবে তিনি প্রচার করেন নাই।

আর আসামি মোয়াজ্জেম বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে যে তিনি পলাতক ছিলেন। আসলে তিনি পলাতক ছিলেন না। তিনি আদালতে আসার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। আদালতে আসার কোনও পরিবেশ ছিল না। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়েছিলেন। ওখানে হাইকোর্টের একটা টেন্ডার নম্বরও আছে। তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়েছিলেন। আসামি আদালতে হাজির আছেন। আমরা তার জামিনের প্রার্থনা করছি।

জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম আদালতকে বলেন, মামলাটি আজ ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। সে মোতাবেক ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেছেন। আসামি ওসি মোয়াজ্জেম ভিডিওটি নিজের মোবাইলে ধারণ করে তা শেয়ারইট অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। তাই আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। তার জামিন নামঞ্জুর করা হোক।

এরপর আদালত ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে আসামি মোয়াজ্জেমকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর  রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানার পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত