শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ সুদৃঢ় প্রত্যয়ে জুয়েল

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি পদপ্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল জানান, ‘আমার পূর্ব পুরুষ জাতীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ এম মনসুর আলীর থেকে শুরু করে ভবিষ্যত প্রজন্ম জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে আস্থাশীল। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ সুদৃঢ় করার মাধ্যমে এ দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে চীরতরে মূলোৎপাটন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।’ 

তিনি দৃঢ় চিত্তে শপথ করে বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করতে সাম্প্রতিক উচ্ছৃঙ্খল, সন্ত্রাসী ও উগ্র ধর্মান্ধ জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলব।

তার এই একান্ত সাক্ষাৎকারে যুবলীগ নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে, তিনি যুব সমাজ তথা দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের মধ্য থেকে স্বাধীনতা ও প্রগতিকামী যুবক ও যুব মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তুলে ‘সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-উগ্র ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কথা বলেন।

রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বাংলাদেশের একটি সর্বপ্রথম ও বৃহত্তম যুবসংগঠন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর চারটি মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা কে সামনে রেখে যে লক্ষ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রচার, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলাই আমার মূল উদ্দেশ্য।

রাশেদ ইউসুফ জুয়েল সিরাজগঞ্জের সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান চেম্বারঅব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আলহাজ আবু ইউসুফ সূর্য জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ভাতিজা হিসেবে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সান্নিধ্য লাভ করেন। দাদা মরহুম আজিজুর রহমান মহকুমা প্রশাসক হিসেবে তৎকালিন দ্বায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষা জীবনে তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি বি,এল, স্কুল থেকে ১৯৯২ সালে এসএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স পড়া কালিন সময়ে বিপুল ভোটে ছাত্রলীগ থেকে ভিপি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক পরিবারে সদস্য হিসেবে ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আর এ কারণেই বিএনপি সরকারের সময় একাধিক মামলা, হামলার স্বীকার হতে হয়। 

১৫ জুন (শনিবার) জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে রাসেদ ইউসুফ জুয়েলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এমদাদুল হক। যদিও এমদাদুল হক অতীতে শিবির এবং বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৫ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামী ছিলেন। আর এ কারণেই জেলা যুবলীগের কাউন্সিলরগণ স্বতস্ফূর্তভাবে আওয়ামী পরিবার এবং ত্যাগী হিসেবে রাসেদ ইউসুফ জুয়েলের দিকেই ঝুঁকেছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এবং উদ্বোধন করবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।