দুদক পরিচালক এনামুল বাছির সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশ : ১০ জুন ২০১৯, ১৮:৪৪

সাহস ডেস্ক

নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছে তদন্তের তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে দুদক বিব্রত নয়।

সোমবার (১০ জুন) দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে তার অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এনামুল বাছিরের তথ্য জানানোর মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত বছর নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে। এরপর তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তবে তদন্ত চলাকালেই প্রাপ্ত তথ্য অভিযুক্তের কাছে চালান করে দিয়ে আপসরফার মাধ্যমে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তিনি। ডিআইজি মিজান নিজেই এমন অভিযোগ করেছেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে।

ডিআইজি মিজানের দুদকের কাছে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল টাকার বিনিময়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবেন। তবে টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধেই প্রতিবেদন জমা দেন বাছির। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অবৈধ লেনদেনের এই ঘটনা দুদকের কাছে ফাঁস করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান।

এদিকে এনামুল বাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কমিশনের সচিব মো. দিলওয়ার বখতকে। অন্য সদস্যরা হলেন মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মফিজুর রহমান ভূঞা এবং মহাপরিচালক (প্রশাসন) সাঈদ মাহবুব খান।

সোমবার বিকেলে এই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে কি আছে সে তথ্য প্রকাশ করেননি দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কমিটির কাছে এনামুল বলেছেন, তিনি ঘুষ নেননি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এনামুল বাসিরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটি অসদাচরণ। এতে দুদক বিব্রত নয়। ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের নয়। দুদকের ৮৭৪ জন কর্মীর সততার নিশ্চয়তা কমিশন দিতে পারে না। 

ইকবাল মাহমুদ বলেন, এনামুল বাসিরের সঙ্গে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কথোপকথন নিশ্চিত হতে নিশ্চিত হতে অডিও রেকর্ড ফরেনসিক পরীক্ষা করতে হবে। তাছাড়া মিজানুর ঘুষ দিয়েছেন প্রমাণিত হলে দুদক মামলা করবে বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত