পাচারের সময় ৩৭ বস্তা বিজিএফ চাল আটক, ধামাচাপার চেষ্টা

প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৯, ১১:৪৪

নীলফামারী প্রতিনিধি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নীলফামারীর ডোমারের সদর ইউনিয়ন পরিষদে অতি দরিদ্রদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ৫০ কেজি ওজনের ৩৭ বস্তা প্যাকিং বিজিএফ চাল কালোবাজারে পাচারের সময় এলাকাবাসী আটক করে। এর একদিন অতিবাহিত হলেও শুক্রবার (৩১মে) পর্যন্ত জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা প্রায় তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের দুইশো গজ পেছন থেকে বিজিএফ চালের বস্তাভর্তি দুটি ভ্যান ও আরডিআরএস মোড় এলাকায় বস্তাভর্তি একটি ভ্যান সহ মোট ৩৭ বস্তা প্যাকিং বিজিএফ চাল এলাকাবাসী আটক করে। আটক চালের বস্তাগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ঘটনার মূলহোতা উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাব্বের হোসেন (মানু) প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডোমার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বের হোসেন মানু’র ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি তা রিসিভ না করে ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।

ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, এভাবে সরকারের বরাদ্দের ভিজিএফের প্যাকিং বস্তার চাল ক্রয় বিক্রয় আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভ্যান যোগে চাল পাচারের সময় এলাকাবাসীর হাতে তা আটক হবার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্যান চালকদের ভাষ্যমতে জানতে পারি, চালগুলোর মালিক চাল ব্যবসায়ী মশিয়ার, সফিয়ার ও আনোয়ার।
তবে কার কাছে ওইসব ব্যবসায়ীরা এসব চাল ক্রয় করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, বিজিএফ চালের বস্তা গুলো জব্দ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত