পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে গাড়ি পারাপার স্বাভাবিক

প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৯, ১৮:০৪

সাহস ডেস্ক

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও গাড়ি পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। এই পথে উভয় ঘাটেই পর্যাপ্ত ফেরি, লঞ্চ এবং জনবল রয়েছে। কোথায় গাড়ির তেমন চাপ নেই। যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম রুট হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন এই রুটে চলাচল করে প্রায় ৩,০০০ যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। গড়ে ১৬টি ছোটবড় ফেরি এবং ৩৫টি লঞ্চ দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হয়।

ঈদের আগে ও পরে এই নৌপথে গাড়ি চাপ বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ। আর এই বর্ধিত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করতে হিমশিম খেতে হয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে। এই কঠিন বাস্তবতাকে সামনে রেখে, যাত্রীদের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচাঘাট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমানে এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের আগে যানবাহনের চাপ বাড়লে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত হবে। এই ২০টি ফেরি দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে পারাপার করতে কোন সমস্যা হবে না।

বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়াঘাটের ভাসমান কারখানার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এনামুল হক জানান, ঈদ উপলক্ষে ফেরি মেরামতের জন্য আমরা সর্বদায় প্রস্তুত। যে ফেরিগুলোতে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। এছাড়াও ফেরি মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি মজুদ রাখা আছে। সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক মেরামত করা যাবে।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা ঘাট শাখা সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, এই নৌপথে ৩৫টি লঞ্চের মধ্যে একটির ফিটনেস সমস্যার কারণে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ঈদমুখো যাত্রীদের নিরাপদে লঞ্চ চলাচল করতে পারবে বলেও আশা করেন তিনি।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৬ কিলোমিটার অংশে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ৫ শতাধিক সদস্য। মহাসড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ও যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে ঘাট এলাকা ও এর আশপাশে সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঘাট এলাকায় ২০টি শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত লাইট বসানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। যেকোনো ধরণের অনিয়ম ও যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে কাজ করবেন মোবাইল টিম। ঘাট থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষও।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত