আত্মসমর্পণ করতে পারেন ইয়াবার প্রথম চালানের হোতা সাইফুল

প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৯, ১৭:২৮

সাহস ডেস্ক

আত্মসমর্পণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবা চালানের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী সাইফুল করিম। পুলিশের একটি সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি মাধ্যমকে ব্যবহার করে আত্মসমর্পণ করতে চান সাইফুল করিম।

জানা যায়, বাংলাদেশে ইয়াবার প্রথম চালান আসে ১৯৯৭ সালে। সেই চালানটি বাংলাদেশে এনেছিলেন এই সাইফুল করিম। বিভিন্ন মামলার আসামির জবানবন্দি থেকে এই তথ্য জেনেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ইয়াবা ব্যবসা করেই রাতারাতি ধনী হয়েছেন সাইফুল করিম। কক্সবাজার জেলা থেকে সর্বোচ্চ কর দিয়ে অর্জন করেছেন সিআইপি মর্যাদাও। সেই সূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে ভালো যোগাযোগ তৈরি হয় সাইফুল করিমের। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের হালিশহরে ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হলে প্রথমবার ইয়াবা ব্যবসার সাথে সাইফুল করিমের সম্পৃক্ততার ব্যাপারটি সামনে আসে। তারপর থেকেই আত্মগোপনে আছেন এই সিআইপি মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় জড়িত দুই আসামি রশিদ ওরফে মুন্না ও আশরাফ আলী চট্টগ্রামের আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাইফুল করিম এবং মিয়ানমারের চোরাকারবারি আবদুর রহিমের নাম উল্ল্যেখ করে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতাসহ কয়েকজন আত্মসমর্পণ করতে চাচ্ছেন বলে খবর পেয়েছি। শর্ত সাপেক্ষে যে কেউ আত্মসমর্পণ করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে আইন নিজের গতিতে চলবে। কক্সবাজারের অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক হয়েছেন। অনেকে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। তবে বড় চোরাকারবারিদের দু-একজন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। দেশ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে তাদের ধরতেই হবে। তারা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে আমরা স্বাগত জানাব।’

পুলিশের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সাইফুল করিম ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবার চালান এনেছিলেন। দেশের লাখ তরুণ-তরুণীকে মাদকাসক্ত করার পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে। ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ি একসঙ্গে আটক হওয়ার পর তার সম্পর্কে আমরা এসব তথ্য পাই।’

তাছাড়া সাইফুল ও মিয়ানমারের রহিম ধরা পড়লে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশা করেন মো. শহীদুল্লাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় এক নম্বর, কক্সবাজারের গডফাদারের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে সাইফুলের নাম।

সাহস২৪.কম/জয়/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত