শিবগঞ্জে ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পাগলা নদী খনন শুরু

প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৯, ১৯:৪৫

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুন:খনন প্রকল্পের আওতায় ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় পাগলা নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কাজের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সাংসদ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।

এ উপলক্ষে শ্যামপুর নারী কল্যাণ শিক্ষালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান, কানসাট ইউপি চেয়ারম্যান বেনাউল ইসলাম প্রমুখ।

পাউবো সূত্র জানিয়েছে, নাব্যতা হারানো পদ্মার শাখা পাগলা নদীর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার। নদীটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মহদিপুর হতে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এক সময় এই নদী ছিল খরস্রোতা। কিন্তু উজানে ভারতের একাধিক বাঁধের কারণে বর্তমানে পানি প্রবাহ একেবারে কমে গেছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের সময় পাগলা ও পদ্মা নদীর সংযোগ বন্ধ করে দেয়ায় পাগলা নদী নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়।

এক সময় এ নদীর উপর নির্ভরশীল ছিল শিবগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া, সত্রাজিতপুর, নয়ালাভাঙা, উজিরপুর, পাঁকা, দুর্লভপুর, কানসাট, শ্যামপুর ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের মানুষ। এছাড়া সদরের রানীহাটি, সুন্দরপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নের বাসিন্দারাও এ নদী ব্যবহার করত। কিন্তু এখন ভরা বর্ষাতেও এই নদীতে পানি থাকে না। এতে নদী তীরবর্তী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। বিশাল এলাকার পরিবেশ আর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে।

এমতাবস্থায় স্থানীয় পাউবো ‘পাগলা নদী খনন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটি একনেকে পাস হবার পর দরপত্র আহবান ও ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এই ধারাবাহিকতায় নদীর খনন কাজ শুরু করেছে পাউবো। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, শিবগঞ্জের শাহবাজপুর হতে সদরের সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার নদী পুরোটাই খনন করা হবে। দুই বছরে খনন কাজ শেষ করা হবে। কাজ শেষ হলে নদী তীরবর্তী লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। জেলার অর্থনীতিতে যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত