শিশুর প্রাণ গেলেও সোজা হয়নি বৈদ্যুতিক পিলারটি

প্রকাশ : ১৫ মে ২০১৯, ১০:৫৬

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী সদরের ১১ হাজার কেভি লাইনের একটি বৈদ্যুতিক পিলার দ্বি-তলা একটি বাড়িতে হেলে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর প্রাণ যাওয়ার  ৬ দিন পার হলেও পিলারটি আজও সোজা করা হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নীলফামারী শহরের মুন্সিপাড়া আরডিআরএস অফিস সংলগ্ন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এর ১১ হাজার কেভি লাইনের একটি পিলার সাপ্তাহিক নীলসমাচার পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এর দ্বিতল ভবনে হেলে পড়ে। পিলারটি হেলে পড়ায় বৈদ্যুতিক তার গুলো ভবনটির ছাদের খুব কাছাকাছি ও দেয়াল লেগে যায়। এমন অবস্থায় গত ৮ মে সাংবাদিক আবদুল্লাহ এর বাড়িতে আট বছরের ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে আসে তার বড় শালিকা নুরবানু। ওই দিন বিকেলে সকলের অজান্তে মায়ের সাথে আসা আট বছরের আরমান হোসেন বাবু বাড়ির ছাদে উঠে হেলে পড়া সেই বিদ্যুতের তার স্পর্শ করলে ছাদে ছিঁটকে পড়ে। বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পড়ে সে মারা যায়। নিহত আরমান হোসেন বাবু শহরের বড় মসজিদ এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আবু হোসেনের পুত্র ও স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।

সাংবাদিক আবদুল্লাহ জানান, দুর্ঘটনার পরপরেই বিষয়টি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগকে অবগত করা হয়। কিন্তু আজ ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পিলারটি সোজা করা হয়নি। এমনকি বিদ্যুৎ অফিসের কেউ এই ঘটনায় সমবেদনা জানাতেও আমার বাড়িতে আসেনি।

নীলফামারী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী নওশাদ আলী বলেন, গত রবিবার রাতের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুতের লাইন মেরামত করার কারণে পিলারটি সোজা করতে বিলম্ব হচ্ছে। আগামি দু’একদিনের মধ্যে পিলারটি ঠিক করা হবে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত