শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ : ১২ মে ২০১৯, ১১:৫৩

সাহস ডেস্ক

জামালপুরের সহকারী শিক্ষা অফিসার মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মাজেদুল পলাতক রয়েছে।

শনিবার (১১ মে) তার গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, মেলান্দহ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাজেদুলের বাসায় প্রায় এক বছর আগে গৃহকর্মীর কাজ নেয় সে। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার স্কুল শিক্ষিকা। কিছুদিন কাজ করার পর থেকেই গৃহকর্তা মাজেদুল শনিবার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা ফাঁস করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর থেকেই প্রতি শনিবার স্ত্রী স্কুলে চলে যাওয়ার তাকে ধর্ষণ করতো। তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে মাজেদুল দুই মাস আগে তাকে পার্শ্ববর্তী পিঙ্গল হাটি গ্রামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়।

বিয়ের পর শাশুড়ির সন্দেহ হলে তাকে ওষুধ খাওয়ায়। এরপর কিশোরী ৭ মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। লোকলজ্জার ভয়ে স্বামী মৃত সন্তানসহ তাকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে তারা মাজেদুলের বাড়ি ঘেরাও করে বিচারের দাবি করে। এরপর থেকেই মাজেদুল পলাতক রয়েছে।

জামালপুর সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান জানান, গৃহকর্মীর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মাজেদুল ইসলামকে আসামি করে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। 

মৃত সন্তানের ময়নাতদন্ত ও শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মাজেদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত