খাগড়াছড়ির পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় তিব্র পানি সংকট

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৯, ১৩:৪০

সাহস ডেস্ক

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলো সাধারণত ছড়া, ঝিরির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তারা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। খাওয়াসহ, সংসারের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য পানি পাচ্ছে না তারা। সারাদিন জুমচাষে ব্যস্ত থাকা জুমিয়ারা এখন দিনের অর্ধেক সময় ব্যয় করছে পানি সংগ্রহে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তন, অতি খরা, অব্যাহতভাবে গাছপালা কেটে ফেলার কারণে প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।

মূলত ঝিরি, ছড়ার উপর নির্ভরশীল পাহাড়ের মানুষগুলো। ছড়াতে কূপ খনন করে অথবা পাহাড় থেকে চুয়ে পড়া পানির মুখে বাঁশ বসিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করতো। যা দিয়ে খাওয়া, রান্নাবান্নাসহ সংসারের দৈনদিন কাজ চলতো। এখন প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে পানি শূন্য। মৃত প্রায় উৎসগুলো থেকে বর্তমানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোঁটা ফোঁটা পড়া  সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে গভীর খাদ ও পাথুরে পাহাড় হওয়ার কারণে বসানো যাচ্ছে না টিউবওয়েল বা রিংওয়েলও। জুমিয়াদের পানির সংকট।
জুমিয়ারা বলেন, “পানির অভাবে অনেক কষ্টে আছি। যে কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করতাম সেখানে এখন ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছে। খাওয়া, স্নানসহ সংসারের দৈনদিন কাজে ভালো করে পানি ব্যবহার করতে পারছি না। দিনের অর্ধেক সময় এখন পানি সংগ্রহে ব্যয় করতে হয়।

নয় মাইল এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ডিসেম্বর থেকে প্রাকৃতিক উৎসগুলো অনেকটা শুকিয়ে যায়। তবে এবারের অবস্থা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভয়াবহ। ঝিরি, ছড়া শুকিয়ে গেছে। দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর এক জগ পানি পাওয়া যায়। আশপাশে ছোটখাটো পানির উৎসগুলোতে ভোর থেকে দীর্ঘ লাইন থাকে। এদিকে এলাকায় তিনটি রিংওয়েল ও টিউবওয়েল থাকলেও তা অচল। অপরদিকে পাথুরে পাহাড়, পাহাড়ের খাদ থাকার কারণে চাহিদা মোতাবেক রিংওয়েল কিংবা টিউবওয়েল স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। 

শুধু দীঘিনালা নয়, জেলার পানছড়ি, লক্ষীছড়িসহ অন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। 


সাহস২৪.কম/ বাশার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত