ফের পেছাল সাংবাদিক শিমুল হত্যার শুনানি

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১১

সমকালের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার চার্জ গঠনের শুনানির তারিখ আবার পেছালো। অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচারক বেগম সালমা খাতুন মামলাটির চার্জ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ জুন ধার্য করেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে এ মামলার চার্জ গঠনের শুনানির হওয়ার কথা থাকলেও বদলিজনিত কারণে বিচারক না থাকায় তা হয়নি। এ কারণে মামলাটি আবারও পিছিয়ে গেলো।

অন্যদিকে নিহতের স্ত্রীর করা একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মামলাটি চলতি বছরের ৬ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বদলিজনিত কারণে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারকের পদ শূণ্য থাকায় মামলাটি অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালতে শুনানি করা হয়। এনিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ও ১৫ অক্টোবরসহ মামলার চার্জ গঠনের শুনানির তারিখ কম করে হলেও চারবার পিছিয়েছে। এর আগে মামলার প্রধান আসামি শাহজাদপুরের সাময়িক বহিষ্কৃত পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় চার্জ গঠনের শুনানির তারিখ বার বার পিছিয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিরুসহ এ মামলার ৩৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মিরু বাদে এ মামলার বাকী ৩৭ জন আসামিই উচ্চ আদালতের আদেশে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

সরকারি পক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাভোকেট শামসুল হক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাভোকেট সানোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট রফিক সরকার।

অন্যদিকে, উচ্চ আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিমুল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মিরু গত ৪ নভেম্বর জামিন লাভ করেন। পরবর্তীতে শিমুলের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. ইমান আলীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ ওই জামিন স্থগিত করেন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চারজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ৬ জানুয়ারি আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলাটির বিচারকার্য সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের মামলায় চার্জ গঠনের শুনানির তারিখ বার বার পিছিয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিমুলের মামা আব্দুল মজিদ মণ্ডল ও তার ভাই আবুল কালাম আজাদ।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মিরুর হাতে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিমুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় মিরু ও তার সহোদর মিন্টুসহ ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। মামলাটি শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে প্রায় দেড় বছর আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়।

এর আগে শাহজাদপুর পৌরসভার একটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বে মিরুর সহোদর মিন্টু ও পিন্টুসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী শাহজাদপুর কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে ধরে মেয়রের বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। ওই ঘটনায় বিজয়ের চাচা এরশাদ আলী বাদী হয়ে মিরু ও তার ভাই মিন্টু ও পিন্টুসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলারও চার্জ গঠনের শুনানি হয়নি। 

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত