জাজিরায় নেওয়া হচ্ছে পদ্মাসেতুর নবম স্প্যান

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৩:১২

সাহস ডেস্ক

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ। আজ বুধবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে সেতুর নবম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ‘৬ডি’।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্র জানায়, বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি (সুপারস্ট্রাকচার ৬ডি) নিয়ে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়েছে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে এই স্প্যানটিকে ক্রেনে ফিটিং করে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়।

জাজিরা প্রান্তের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর ধুসর রঙের স্প্যানটি বসানো হবে। আর তাতে দৃশ্যমান হবে সেতুর ১৩৫০ মিটার (১.৩৫ কিলোমিটার)। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ প্রকল্পে কর্মরত এক প্রকৌশলী জানান, স্প্যানটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পেইন্টিং শেষে বসানোর উপযোগী হয়। পদ্মাসেতুর চ্যানেল দিয়ে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতুর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার এলাকায় অবস্থান করবে আজ। ধারণা করা যায় ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছাবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানোর কথা রয়েছে। 

সূত্রটি আরো জানায়, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
 
নদীতে যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ বসবে তার মধ্যে ২০৯টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে ৫৩টি পাইল ড্রাইভ। মোট ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৪১টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত