‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি’

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০১৯, ১৮:০৭

সাহস ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ একটি উন্নত জীবন পাবে, এটাই তার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ১৫ আগস্ট তাকে মেরে ফেলা হলো। আমি পরিবার হারালাম। বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার চেতনা ও উন্নত জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা হারিয়েছিল। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

১৭ মার্চ (রবিবার) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এরই মধ্যে তিনি শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করে দিয়ে যান, মেয়েদের শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক করে দেন। শিশুদের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার জন্য জাতির জনক বাংলাদেশে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। তখনো জাতিসংঘ শিশুদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইন প্রণয়ন করেনি। জাতিসংঘ আইন করেছিল ১৯৮৯ সালে। আর জাতির জনক করেন ১৯৭৪ সালে। ২০১১ সালে আমরা জাতীয় শিশুনীতি করেছি। শিশুর অধিকার সুরক্ষা, শিক্ষা, খেলাধুলা, শারীরিক চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা সব দিকে যেন তারা পারদর্শিতা অর্জন করতে পারে, সে জন্য আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।’

এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জ জেলা ব্র্যান্ডিং এর লোগোর রেপ্লিকা প্রদান করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। বঙ্গবন্ধুকে লেখা শ্রেষ্ঠ চিঠি পাঠ করে শুনান যশোরের কেশবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ‘আমার কথা শোন’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন ও জাতীয় কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্য অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গল্প বলা প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এরপর শিশুদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বই মেলার উদ্বোধন ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ফাহেতা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এটিএম ফজলে রাব্বি মিঞা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, আমির হোসেন আমু এমপি, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি, কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপিসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেল ৩টায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত