ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহত হয়েছেন চার বাংলাদেশি

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ‘নিউজিল্যান্ড সরকার বাংলাদেশকে জানিয়েছে, দেশটি নিহতদের একজন করে স্বজনকে সেদেশে নিয়ে যাবে। লাশ নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যই স্বজনদের সেখানে নেবে নিউজিল্যান্ড।’

১৭ মার্চ (রবিবার) ইউএনবিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হামলায় চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দুই জনের নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুই বাংলাদেশির নিহত হওয়ার বিষয়টি জানা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হতে পারে।

এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুস সামাদ ও সিলেটের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা আহমেদ।

নিউজিল্যান্ডের এক কর্মকর্তা জানান, এখনো নারায়ণগঞ্জের মো. ওমর ফারুক ও চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক নিখোঁজ রয়েছেন। ‘সম্ভবত’ তাঁরা মারা গেছেন। এ ছাড়া জাকারিয়া ভুইয়াও নিখোঁজ রয়েছেন। নরসিংদীর জাকারিয়া প্রায় ১৮ মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে নিউজিল্যান্ড এসেছিলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে লিপির অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁর আরেকটি অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা লিপির স্বামীর নাম মাসুদ।

এ ছাড়া পায়ে গুলিবিদ্ধ মুতাসসিম (গাজীপুর) ও শেখ হাসান রুবেলের অবস্থা বিপদমুক্ত।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘উদ্বিগ্ন বাংলাদেশিরা নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমানের মুঠোফোনে (‍+৬৪ ২১০২৪ ৬৫৮১৯) যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া আরও দুটি জরুরি নম্বরেও (‍+৬১ ৪২৪ ৪৭২৫৪৪ এবং ‍+৬১ ৪৫০১৭৩০৩৫) যোগাযোগ করা যাবে।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান জাতীয় ক্রিকেটদলের কয়েকজন খেলোয়াড়।