রেলে যুক্ত হচ্ছে আমেরিকান ৪০ ব্রডগেজ ইঞ্জিন

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৯

সাহস ডেস্ক

আমেরিকার তৈরি ৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। এসব ইঞ্জিনগুলো ২৪ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

এতে সরকারের খরচ হবে ১৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এসব লোকোমোটিভ সরবরাহ করবে আমেরিকান কোম্পানি মেসার্স প্রোগ্রেসিভ রেল ইউএসএ। সরকার ও এডিবির যৌথ অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ প্রকল্পের আওতায় এসব লোকোমোটিভ ক্রয় করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে আমেরিকান ওই কোম্পানি এসব ইঞ্জিনের ডিজাইন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সেই প্রস্তাবের বিষয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) রেলওয়ের কারিগরি টিম আলোচনা করেছে।

রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ বলেন, বুধবার আমরা টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমেরিকান ওই কোম্পানি ২০২১ সালের মে মাস থেকে এসব ইঞ্জিন দেওয়া শুরু করবে। আর ২০২২ সালের মে মাসের ভেতর আমরা সবকটি ইঞ্জিন পেয়ে যাবো।

তিনি বলেন, এসব ইঞ্জিন অত্যাধুনিক। মেরামত ব্যয় কম। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। এসব ইঞ্জিন যুক্ত হলে বিভিন্ন রুটে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৯৪টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে যার মধ্যে ৫৫টির আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া ইঞ্জিন পুরনো হওয়ায় নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিকাংশ ট্রেন চলছে কম গতিতে। এর ফলে ক্রমাগত সিডিউল বিপর্যয় ঘটায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, রেলের উন্নয়নে এখন ৪৮টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি প্রকল্প রেললাইন স্থাপন, সংস্কার, নতুন লাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত। বাকি পাঁচটি প্রকল্পে ইঞ্জিন কেনাসহ অন্যান্য উন্নয়নকাজ অন্তর্ভুক্ত।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমদ বলেন, ইঞ্জিন সংকট মিটলে রাজস্ব আয়ও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন রুটে অধিক পরিমাণে ট্রেনও চালানো যাবে। এতে পরিবহন সংকট যেমন মিটবে তেমনি যাত্রীদের দুর্ভোগও কমবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত